ভোটের দিন সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিকরা। শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নীতিমালা সংশোধন করে নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হতে পারে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকলে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল চালাতে কোনো বাধা নেই। কমিশন বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে।
গত এপ্রিলে সাংবাদিক নীতিমালা জারি করে ভোটে সাংবাদিকদের মটরসাইকেলে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইসি। এ নিয়ে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি আপত্তি জানালে কয়েক দফা বৈঠকের পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইসি। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নীতিমালা সংশোধনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সই করার মধ্য দিয়ে বিষয়টি অনুমোদন হয়ে যায়।
এর আগে, ভোটের দিন সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ করার বিষয়ে গত ১২ এপ্রিল নীতিমালা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, সাংবাদিকদের যাতায়াতের জন্য যৌক্তিক সংখ্যক গাড়ির স্টিকার দেয়া হবে। তবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যাবে না।
নীতিমালায় আরও বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোট কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি ধারণ করতে পারবেন না। একইসঙ্গে দুইয়ের বেশি মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না।
এ ছাড়া সাংবাদিকরা ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। সেসময় সবমিলিয়ে সাংবাদিকদের জন্য মোট ১৩টি নির্দেশনা দেয় ইসি।