আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আর নির্বাচনের মাত্র ৮ দিন আগে দুটি পৃথক মামলায় ২৪ বছরের জন্য দণ্ডিত হলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খান। মামলা দুটির একটিতে তার সঙ্গে দণ্ডিত হয়েছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি, আর অপরটিতে ইমরানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা কুরেশি।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় উপহার বেআইনিভাবে বিক্রির মামলায় পাকিস্তানের ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতি বিরোধী আদালত।
রায়ে ইমরান ও বুশরাকে ১০ বছরের জন্য সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের প্রত্যেককে ৭৮৭ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের আরেক মামলায় ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে। পাকিস্তানের বিশেষ আদালত এই রায় দেন। তবে রায়ের স্বচ্ছতাসহ আদালতের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনবিশেষজ্ঞদের অনেকে।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পিটিআই নেতাকে দুই মামলায় ২৪ বছর দণ্ড দেওয়ায় ইমরান খান ও তার দলের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল। বিশেষ করে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতার রাজনীতিতে ফেরা দলটির জন্য কঠিন হয়ে পড়ল। শুধু তাই নয়, ইমরান খান আগামী ১০ বছর সরকারি কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ইমরান খান ও তার দলের ভবিষ্যত রাজনীতি ঝুঁকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় সময় রাষ্ট্রীয় দখলে থাকা ১৪০ মিলিয়ন রুপি বেশি মূল্যের উপহার বিক্রি করার জন্য ইমরান খানকে আগস্টে অন্য একটি আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। পরে সাজা স্থগিত করা হলেও ইমরান অন্যান্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি বৈধভাবে জিনিসগুলো কিনেছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, ইমরানের সহযোগীরা দুবাইতে উপহার বিক্রি করেছে।
তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৫ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সময় ইমরান খান যেসব উপহার পেয়েছিলেন, সেগুলো বিক্রি করে পাওয়া অর্থ সম্পর্কে ঘোষণা না দেয়ার কারণে ইসলামাবাদের আদালত তাকে সাজা দেন।