নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা করে পাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। রোববার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, এমপিরা নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দেন। তা ছাড়া তার এলাকার উন্নয়নে এর আগেও একটা থোক বরাদ্দ থাকতো। এখন নতুন সরকার, এ সরকারের আমলে এমপিদের নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বরাদ্দ সরকার দেবে কি না?
জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্ব স্ব এলাকায় উন্নয়নের জন্য করা অঙ্গীকার পূরণ করার জন্য এমপিদের যেমন আগ্রহ, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুধাবন করেছেন। তাই একটি প্রকল্প করে প্রতিজন এমপির নির্বাচনি এলাকার জন্য এরই মধ্যে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য ২০ কোটি টাকা দেয়ার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছেন তিনি। যা চলমান থাকবে এবং প্রকল্প শেষ হলে বা এমপিদের নির্বাচনি এলাকার উন্নয়ন ও অঙ্গীকার পূরণে আবারও নতুন করে প্রকল্প নেয়ার কথা বিবেচনা করা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
রোববার সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, এলজিইডির আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লি এলাকায় ৪৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও ২১ হাজার মিটার ব্রিজ, কালভার্ট নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, এলজিইডির আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লি এলাকায় ৪৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১০০০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, ১৯০০০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন-পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ-সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ/সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসব উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন চলমান, যা চলতি বছরের জুনের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
