সিলেটে রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে জমে উঠেছে নগরের হাট-বাজারের কেনাবেচা। তবে দ্রব্যমূল্য না কমায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা। সবজি বাজারে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই অপরিবর্তিত থাকায় হতাশ ক্রেতা সাধারণ।
রোববার (১১ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে নগরের রিকাবীবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো প্রতিকেজি ৬০, বেগুন ৮০, ঢেঁড়শ ৭০, ফুলকপি ১০০, বাঁধাকপি ১০০, কাঁচা মরিচ ২৫০, করলা ৭০ এবং শসা প্রতিকেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহে প্রতিটি শাক-সবজি এ সপ্তাহের তুলনায় গড়ে ১০ টাকা করে বেশি ছিল।
সবজি বিক্রেতা মানিক মিয়া বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। দেশের পরিস্থিতি ভালো হওয়া সাপেক্ষে আমদানি ভালো হলে সবজি বাজারে সব শাক-সবজির দাম কমতে পারে।
এদিকে রোববার সকালে নগরীর আম্বরখানায় খুচরা দোকানে আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫, আদা ২৮০, রসুন ২০০ টাকা দরে। একই অবস্থা দেখা গেছে নগরের রিকাবীবাজারেও।
রিকাবীবাজারের আল রশিদ ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী আবুল মিয়া সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে মুদির দোকানের পণ্যগুলোর দাম খুব একটা কমেনি। আমাদের ব্যবসা যেহেতু আড়ৎ নির্ভর, তাই আড়তে দাম কমলে পরে আমরাও কমে বিক্রি করতে পারব৷’
এদিন সিলেটে ডিমের হালি ৫০, ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৮০, সোনালি মোরগ প্রতি পিস ২৫০-৪০০, লাল মোরগ প্রতিপিস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখো যায়। তবে রোববার গোরুর মাংসের দোকান বন্ধ থাকায় গোরুর মাংসের দাম জানা যায়নি।
মধুশহীদ এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন, ‘গত তিন সপ্তাহে রীতিমতো বাজার করা যায়নি। কোনোমতে ডাল-ডিম খেয়ে দিনরাত পার করেছি। আজকে সকালে বাজার করতে এসেছি। মাছ-মাংস তরি-তরকারি কোন কিছুরই দাম কমেনি। বাজারে এসে রীতিমত হতাশ হয়েছি।’
বাজার করতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, চলতি সপ্তাহে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের কোনোটির দাম কমেছে এমনটা দেখতে পাননি। তাদের দাবি, নিয়মিত বাজারসহ আড়তেও মনিটরিং করলে এবং সর্বোপরি সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার নিশ্চিত করলে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামবে।