নিজ হাতে ক্যাম্পাস পরিষ্কার করলেন সিকৃবির শিক্ষকরা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম ২০২৩’ উদ্বোধন করেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. সা’দ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় সূচনা পর্বে বক্তব্য দেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আলমগীর, অফিসার পরিষদের সভাপতি মো. বদরুল ইসলাম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সামছুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হোসেইন।

বক্তব্যের পর উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ তাৎক্ষণিক একটি সচেতনতামূলক র‌্যালি করেন এবং পরিষ্কার-পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। তাঁরা এখানে-সেখানে পড়ে থাকা শুকনো পাতা, প্লাস্টিক বর্জ্য, ছেড়া কাগজ ইত্যাদি আবর্জনা পরিষ্কার করেন।

পরবর্তীতে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল ভূঞা উদ্দিন কয়েকটি অনুষদের আঙিনা ও পানি নিষ্কাশনের নালা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলতে নিষেধ করেন।

এদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সিকৃবি ক্যাম্পাসে বেশ সাড়া ফেলেছে। শিক্ষকদের ঝাড়ু ও বস্তা হাতে কাজ করতে দেখে অনেক শিক্ষার্থী তাদের সাথে পরিচ্ছন্নতা কাজে স্বেচ্ছায় অংশ নিয়েছেন। উচ্ছিষ্ট খাবার, প্লাস্টিকের গ্লাস-কাপ, বোতল, কাগজের ঠোঙ্গাবিহীন পরিষ্কার ঝকঝকে সবুজ ক্যাম্পাস দেখে অনেকেই শিক্ষক সমিতির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডা. শাহ্ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস সময়ের দাবি। আমরা উন্নত বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নজরকাড়া ক্যাম্পাসের মতো আমাদের ক্যাম্পাস বানাতে চাই। ছাত্র-ছাত্রীদের হলগুলোকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে অনুরোধ করব আপনারা যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলবেন। একটি সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, গোছানো বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজন। শিক্ষক সমিতির এই পরিছন্নতা কাজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।