নিজের পারিবারিক রাস্তায় গেট নির্মাণ করেছেন বলে দাবি করেছেন সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁও গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. মবুর আলী। কিন্তু মেয়র মুহিবুর রহমানের ইন্ধনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মবুর আলী বলেন, আমার পারিবারিক রাস্তায় নির্মিত একটি গেটকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিশ্বনাথে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী জামাল আহমদের পক্ষে তার চাচাতো ভাই সাব্বির আহমদ যে বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই রাস্তায় অন্য কারও কোনো অংশিদারিত্ব নেই। তিনি আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
মবুর আলী বলেন, সম্প্রতি বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মানহানিকর অনেক বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শুধু আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধেই নয়, মেয়র আমাদের গ্রামবাসীর জন্যও অবমাননাকর অনেক বক্তব্য রেখেছেন যা মিথ্যা, বানোয়াট এবং মানহানিকর। আর আমাদের গ্রামে গত ১০/১২ বছরের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ বা মামলা হয়নি। অথচ বর্তমানে মেয়রের ইন্ধনে তারই কাছের লোকজন অশান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, আমাদের কেয়ারটেকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সম্প্রতি নুরুল ইসলামের ছেলে সাকুল ইসলাম ও মৃত মশরফ আলীর ছেলে জাহিদুল হক গংরা মিলে আমাদের রেকর্ডিয় মৌলভীরগাঁও মৌজার এসএ ৫৪ খতিয়ানের ৪৯৬২ দাগের আমাদেরই পারিবারিক রাস্তার মোড় থেকে ডোবারপাড়সহ ৪৯৫৭ ও ৪৯৫৮ দাগের জমি ও ফসল নষ্ট করে জোরপূর্বক গার্ডওয়াল দিয়ে নতুন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করেন। পরে সায়েস্তা মিয়া বিষয়টি আমাদের অবগত করলে আমরা তাকে আমমোক্তার নিযুক্ত করে সিলেটের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করি (নম্বর ১৭/২০২৩)। এরপর আদালত বিশ্বনাথ থানা পুলিশের মাধ্যমে উভয়পক্ষকে ডেকে নোটিশের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু তা অমান্য করে সাকুল, জাহিদুল গংরা মেয়র মুহিবুর রহমানের নির্দেশে গার্ডওয়াল নির্মাণ করেন। এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এসআই রুমন আহমদ গত ২১ মার্চ আদালতে প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন।
মবুর আলী বলেন, এসব ব্যাপারে চাউলধনী হাওর রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ আমাদের কাছে আপসের প্রস্তাব দেন। আমরা আজি হলেও আপস প্রস্তাবে মেয়রের পক্ষের লোক জামাল আহমদ, সাব্বির গংরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতেই প্রমাণ হয়, শান্তির পক্ষে কাদের অবস্থান আর বিপক্ষেই বা কারা।
মবুর আলী অবিলম্বে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া সাব্বিরের বক্তব্য ও ফেসবুক পেজে দেয়া মেয়র মুহিবুর রহমানের মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে ওইসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সস্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মো. তাজিম উদ্দিন, কাওসার মিয়া, সায়েস্তা মিয়া, আশিক মিয়া, মাহফুজুর রহমান, মো. লায়েক, ছালিক, হুসন আহমদ, মো. তফুর, লোকমান, রায়হান, শফিক মিয়া প্রমুখ।