নিখোঁজের ৬দিন পরও সন্ধান মিলেনি শিশু মুনতাহার

নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পরও সন্ধান মিলেনি কানাইঘাটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬)। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও কোনো সন্ধান পাচ্ছে না শিশুটির পরিবার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মুনতাহার সন্ধানে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। ঘোষণা করা হয়েছে পুরস্কারও। তবুও হদিস নেই শিশুটির। এতে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ বলছে, নিখোঁজ মুনতাহার সন্ধানে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

শিশুটির বাবা শামীম আহমদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সিলেট ভয়েসকে তিনি বলেন, ‘গেল রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে বের হয় মুনতাহা। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় সে। পরে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো কিছুর বিনিময়ে মুনতাহাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত চাই। আল্লাহ আমার ছোট্ট মেয়েটিকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিক।’ নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন শামীম আহমদ। এছাড়া যে তার মেয়ের সন্ধান দিতে পারবে তাকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বোনের এমন নিখোঁজের সংবাদে তার বড়ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহেদ আহমদ গত ৬ নভেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমার বোন মুনতাহার জীবনের বিনিময়ে কী চান, বলুন….আল্লাহর কসম, যা চাইবেন তা দিব। বিনিময়ে শুধু আমার বোনটিকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিন।’

এ ঘটনায় খালেদ আহমদ শাহীন নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার ফেসবুক লাইভে বলেন,’মেয়েটি (মুনতাহা) আমার আত্মীয়স্বজন কেউ না, তবে তার মতো আমারও একটি ছোট মেয়ে আছে। যে ব্যক্তি মুনতাহার সন্ধান দিতে পারবেন তাকে ৫০হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত ও নিখোঁজের সন্ধানে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। শিশুটির সন্ধান পেতে পুলিশের এই টিম অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’