স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বাংলাওয়াশ সিরিজ জয় করে নিয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালে পাকিস্তান খানিকটা চাপে পড়লেও দলকে সেই চাপমুক্ত করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়ে গেছে ৫ উইকেটের জয়। যার ফলে বাংলাওয়াশ সিরিজের ফাইনাল জিতল বাবর আজমের দল।
আজ ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টসভাগ্যটা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। অধিনায়ক বাবর আজম নিউজিল্যান্ডকে পাঠান ব্যাট করতে। আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকা কেন উইলিয়ামসন এই ম্যাচে ফেরেন নিউজিল্যান্ড দলে। এসেই খেলেন অধিনায়কোচিত এক ইনিংস। তাতে ভর করেই নিউজিল্যান্ড পায় ১৬৩ রানের পুঁজি।
প্রথম ওভারের শেষ বলে ফিন অ্যালেন ফেরার পর উইলিয়ামসনের লড়াইয়ের শুরু। এরপর ৩৮ বল খরচায় তিনি খেলেছেন ৫৯ রানের ইনিংস। ইনিংসটা সাজিয়েছেন ৪টি চার আর ২টি ছক্কায়।
উইলিয়ামসন অবশ্য লড়াইটা লড়েছেন একাই। ইনিংসে আর কেউ যে ৩০ রানও ছুঁতে পারেননি! ফিন অ্যালেনের পর ডেভন কনওয়ে ফিরেছেন ১৪ রান করে। এরপর গ্লেন ফিলিপস খেলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস। আর মার্ক চ্যাপম্যান করেন ১৯ বলে ২৫ রান। শেষ দিকে জিমি নিশামের ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে নিউজিল্যান্ড পায় ১৬৩ রানের পুঁজি।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ দারুণ বল করে ২২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। নাসিম শাহ ছিলেন খরুচে, ২ উইকেট শিকারে তিনি খরচ করেছেন ৩৮ রান। এছাড়াও শাদাব খান আর মোহাম্মদ নওয়াজ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমকে শুরুতেই হারিয়ে বসে পাকিস্তান। ১৪ বলে ১৫ রান করা তাকে দলীয় ২৯ রানে হারায় পাকিস্তান। তিনে নামা শান মাসুদ খেলছিলেন বেশ ধীরগতিতে, ২১ বলে ১৯ রান করে তিনিও ফেরেন দলীয় ৬৪ রানে। এর একটু পর মোহাম্মদ রিজওয়ানও যখন ফিরলেন ব্যক্তিগত ৩৪ রানে, পাকিস্তানের তখনো চাই আরও ৯০ রান, হাতে ছিল মাত্র ৫১ বল।
সেই থেকে পাকিস্তানকে টেনেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ, হায়দার আলী আর ইফতিখার আহমেদ। দলীয় ১৩০ রানে হায়দার ফেরেন ১৫ বলে ৩১ রান করে। একটু পর যখন আসিফ আলীও ফিরলেন, তখন ধসের ভয় ঢুকে যাওয়াটাও অসম্ভব কিছু ছিল না পাকিস্তান শিবিরে। তবে ইফতিখার আর নওয়াজের ঝোড়ো ব্যাটিং পাকিস্তানকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেয়নি। দুজনের ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি পাকিস্তানকে এনে দেয় ৫ উইকেটের জয়। যার ফলে বিশ্বকাপের আগে অনুষ্ঠিত এই বাংলাওয়াশ সিরিজের চ্যাম্পিয়নও হয়ে যায় পাকিস্তান।