নাসির-মিছবাহ সহ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হচ্ছেন ১৯ চেয়ারম্যান

আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান সহ দেশের ১৯ জেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের সংখ্যাই বেশি। এ বিভাগে ৬ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।

দ্বিতীয় অবস্থানে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগ। দুই বিভাগেই তিনটি জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। এছাড়া সিলেট বিভাগেও দুজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য একীভূত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবেদন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে রিটার্নিং কর্মকর্তারা একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৬১ জেলার এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১ হাজার ৯৮৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

যে ১৯ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত :

ঢাকা বিভাগে নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর; বরিশাল বিভাগে ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, রাজশাহী বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ; রংপুর বিভাগে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর ও ফেনী; সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেট এবং খুলনা বিভাগে বাগেরহাটে কোনো ভোট হচ্ছে না।

তফসিল অনুযায়ী-মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর।

আপিল নিষ্পত্তি হবে ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এই নির্বাচনের ভোটার।