নানা সমস্যায় জর্জরিত হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার দেড় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবাদানের লক্ষ্যে হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ২০২১ সালের জুন মাসে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের ঘোষণা দেন এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমপ্লেক্সের অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এতে লাখাই উপজেলার ১ লক্ষ ৭২ হাজার জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে।
কিন্তু ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রায় ২ বছরেও এর প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। ফলশ্রুতিতে জনবল নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক কার্যাবলী আটকে রয়েছে। ফলে ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনগণকে কাঙ্খিত সেবাদান করতে পারছে না।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) কার্যতঃ জনগণের সেবায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। অথচ ওটি-তে এনেস্থেশিয়া দেওয়ার দায়িত্বে কর্মরত রয়েছেন ডা. বিজন কুমার সাহা নামে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট।
জানা যায়, ওটি কার্যক্রম চালু না থাকায় ডা. বিজন কুমার সাহা সপ্তাহে ৪ দিন কমপ্লেক্সে এসে অলস সময় পার করেন।
আরও জানা যায়, জুনিয়র কনসালটেন্ট পদের বিপরীতে মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ডা. অমিত কুমার ২০১৩ সাল থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন। বর্তমানে এই চিকিৎসকের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী সামশুল আরেফিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের ঘোষণা দেওয়া হলেও অদ্যাবধি প্রশাসনিক অনুমোদন না হওয়ায় জনবল নিয়োগসহ আনুষঙ্গিক কাজ ঝুলে রয়েছে। ওটি চালু না থাকায় এনেস্থিসিয়া দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করা ডা. বিজন কুমার সাহা সপ্তাহে ৪ দিন করে কমপ্লেক্সে আসছেন।
তিনি বলেন, ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের ফলে ও অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বহিঃর্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সেবাপ্রার্থীদের আগমন দিন দিন বেড়ে চলেছে। জনবলের অভাবে তাদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবুও আমরা কোনোরকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।