সিলেটের আঞ্চলিক বর্ণমালা তথা নাগরি বর্ণমালাকে সকল স্কুল ও কলেজের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করার দাবী জানিয়েছে সিলটি পাঞ্চায়িত নামের একটি সংগঠন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবরের হাতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফেরদৌস, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারিছ আলী মামুন ও প্রচার সম্পাদক কবি কামাল আহমদ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- ছিলটি ভাষা, সিলেট বিভাগবাসীর মাতৃভাষা। এই ভাষার সম্পূর্ণ পৃথক বর্ণ বা অক্ষর আছে, যা সিলটি নাগরী লিপি নামে পরিচিত। বাংলা ভাষা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এই ভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ ভাষায় শক্তিশালী সাহিত্য আছে। অনেকে এই ভাষার উপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ছিলটি ভাষা বিশ্বের ৯৭ তম ভাষা। সিলেট বিভাগের প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। এছাড়া ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাষায় আরো প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেন। ছিলটি নাগরি বর্ণে বা অক্ষরে এই ভাষা প্রচলন এখন কম হয়। অথচ পূর্বে এই ছিলটি ভাষায় জায়গা জমিনের দলিল লিখা, সাহিত্য চর্চা, গণিত তথা হিসাব নিকাশ সহ সকল প্রকার দালিলিক কাজ করা হতো।
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ছিলটি নাগরী বর্ণে ছিলটি ভাষাকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সকল স্কুল-কলেজের পাঠ্যক্রমে যুক্ত করার দাবী জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, সিলটি পাঞ্চায়িত সিলেট বিভাগের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সিলটি ভাষাকে বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ইতপূর্বে মানববন্ধন, প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি প্রদান ও জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট চিঠি প্রদান করা হয়েছে।