‘শেখ হাসিনার বারতা-নারী পুরুষের সমতা, নারীর জন্য বিনিয়োগ-সহিংসতা প্রতিরোধ’ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে নবীগঞ্জে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফেরদৌসির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, উপজেলা পজীপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল, সাবেক সভাপতি রাকিল হোসেন, সময় পত্রিকার প্রকাশক ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. সেলিম তালুকদার, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচীর কর্মকর্তা রিমা আক্তার চৌধুরী, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সফল জয়িতা দিলারা হোসেন, দুলাল আহমদ, মোছা আকলু বেগম, পুতুল দাশ, মহিলা কাউন্সিলর পারুল আক্তার, ইউপি মহিলা সদস্য মরিয়ম বেগম, শামছুন নাহার প্রমুখ, উপজেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক বর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৫ জন জয়িতাকে পুরস্কৃত করা হয়। তারা হলেন- অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারী ক্যাটাগরিতে কাজল রাণী গোপ; নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে উঠে দাঁড়িয়েছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে পুতুল দাশ; সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে দিলারা হোসেন; শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে সীমা সিদ্দিকা, সফল মা ক্যাটাগরিতে মোছা. আকুল বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখছেন। নারী পুরুষের সহাবস্থানই দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে মনে করি পুরুষের চেয়ে নারীরা শক্তিশালী। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, মায়ের সম্মান বলেই যুদ্ধ করেছি। বাবা চাকুরী করলে অবসর হয়। কিন্ত মায়ের কখনো অবসর হয় না। বিয়ের পর থেকে যে চাকরি শুরু হয় মৃত্যু আগ পর্যন্ত থাকে।’ পরিশেষে তিনি বেগম রোকেয়ার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করেন।