নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৩ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে একটি পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এমন হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নবীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. গতি গবিন্দ দাস ও এই এলাকার রণধির দাসের লোকজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াধি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে একটি পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ভর্তি করা হয়।
এতে গুরুতর আহত ১৩ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তারা হলেন, রঞ্জন দাশ (৪১), পাপন দাশ (৩৫), সুজিত দাশ (৪৭), বিধূ ভূষণ দাশ (৪২), রাজেশ দাশ (৪০), ধনঞ্জয় দাশ (৩৪), মিনু দাশ (২৫), দিলু দাশ (২৮), যোগেন্দ্র দাশ (১৮), সৌরভ দাশ (১৮), রঞ্জন দাশ (৩১), সুমন দাশ (৩৫), নিলকন্ঠ দাশ (৪০)।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দূর্গাপুর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।