নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের ‘আহ্বায়ক’ দাবিদার দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের একই পদে জেলা এবং কেন্দ্র অনুমোদিত দুটি কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর থেকে গত ১৯ দিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টা মিছিল আর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিলো।

এতদিন টানটান উত্তেজনা আর পাল্টা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুটি গ্রুপই নবীগঞ্জ শহরে মহড়া দিয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর জুমআর নামাজের পর এই দুটি গ্রুপের নেতারা শহরের দুই দিকে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে রামদা, জিআই পাইপ, স্টাম্প, লাঠি এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে শহরে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। সংঘর্ষ এড়াতে দুটি গ্রুপের সাথে দিনব্যাপী সমঝোতা করার চেষ্টা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগ অনুমোদিত আহ্বায়ক দাবীদার নাজিম উদৌল্লা চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। এতে চরম ক্ষোভ দেখা দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদিত আহ্বায়ক দাবীদার জাহিদুল ইসলাম রুবেল ও তার অনুসারীদের মধ্যে।

এসময় তারা নবীগঞ্জ ট্রাপিক পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নিলে নাজিমের নেতৃত্বে অপর গ্রুপের নেতারা ট্রাফিক পয়েন্ট মোড়ে আসতে চাইলে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে দুটি গ্রুপের নেতাদের আহত হতে দেখা গেলে ও আহত হওয়ার বিষয়টি কেউই স্বীকার করেননি। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে জেলা কমিটি অনুমোদিত আহ্বায়ক দাবীদার নাজিম উদৌল্লা চৌধুরীকে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে রুবেল অনুসারী নেতাকর্মীরা। এসময় নাজিম উদৌল্লা চৌধুরী দৌড়ে পালিয়ে একটি চালের দোকানে প্রবেশ করে নিজেকে রক্ষা করে। এ ঘটনায় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আবারো বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে নাজিম উদৌল্লা চৌধুরী বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনা মোতাবেক আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল বের করি। এসময় জাহিদুল ইসলাম রুবেল এর নেতৃত্বে জামাত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করলে আমরা তা প্রতিহত করি।’

অপর কমিটির আহ্বায়ক দাবীদার জাহিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, জামাত, বিএনপি, জাতীয়পার্টির কর্মী সমর্থকরা আমাদের লক্ষ করে উস্কানিমূলক কথা বার্তা বললে নবীগঞ্জ পৌর জাতীয়পার্টির আহ্বায়কের ছেলে নাজিমকে আমার নেতাকর্মীরা প্রতিহত করে।’

তার উপর দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা করা হলো কেন; এ প্রশ্নের জবাবে রুবেল বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাদের প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ।’

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি গোলাম মোর্শেদ সরকার বলেন, শহরে কোনো ধরণের সংঘর্ষ হয়নি। সংঘর্ষ এড়াতে কাজ করেছে পুলিশ।