বন্যার পানি নামার পর আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নবীগঞ্জের কৃষকরা। নবীগঞ্জ উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে নবীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে দেখা যায় কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করছেন আবার কেউ রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন।
কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বন্যায় অনেকেরই ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা বলেন- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিতে আমন রোপণ করছি। আপাতত সেচের কোনো প্রয়োজন হচ্ছেনা। রোপণের ১ সপ্তাহ পর থেকে সার দেয়া শুরু হবে। যে হারে সব জিনিসের দাম বাড়তেছে তা নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বীজতলা তৈরি হয়েছে। আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যায়। চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ১২’শ জন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।
সারের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম মাকসুদুল আলম জানান, উপজেলায় সারের কোনো ঘাটতি নেই। সার নিয়ে কারসাজির কোনো সুযোগ প্রদান করা হবেনা। অনুমোদিত বিক্রেতার দোকানে প্রদর্শিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী কৃষকরা সার কিনবেন। সার অবৈধ মজুদ কিংবা দাম বেশি রাখার কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউরিয়া সারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি জানান, আমরা সব সময় কৃষকদের পরিমিত সার ব্যবহারের পরামর্শ দেই। ইউরিয়া বেশি ব্যবহার করলে পোকামাকড়, রোগবালাই আক্রমণ বেশি হয়। গাছ লম্বা ও দুর্বল হয়, পাতা ভারী ও কোষপ্রাচীর পাতলা হয়ে হেলে পড়ে। সরকার নন ইউরিয়া সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহী করতে ভর্তুকি দিয়ে ডিএপি সার কেজি প্রতি ১৬ টাকা ও এমওপি সার ১৫ টাকা নির্ধারণ করেছেন। অধিকাংশ কৃষকই এখন ইউরিয়া ব্যবহারে সচেতন তবুও যারা আগের সমপরিমাণ ইউরিয়া ব্যবহার করবেন তাদের খরচ বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ ১২০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে খরচ কমাতে হলে পরিমিত রাসায়নিক সার ও জৈব সার ব্যবহার আবশ্যক।