নতুন বছর শুরুর মাত্র চার দিন। নতুন বছরে এরই মধ্যে ক্রিকেটের নতুন নিয়ম চালু করার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। আগের বেশ কিছু নিয়মে হালকা পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন নিয়মও চালু করেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
কোনো বোলারের বল অনেক সময় ব্যাটারের ব্যাট ঘেঁষে চলে যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। তখন উইকেটরক্ষক দ্রুত স্টাম্পের বেল ফেলে আপিল করেন। স্পিনারদের বোলিংয়েই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটে এমন ঘটনা। মাঠের আম্পায়ার দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগলে তা চলে যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। স্টাম্পিং, ক্যাচ-কোন ধরনের আউট তা তৃতীয় আম্পায়ার যাচাই করে দেখেন। এখানে সংশোধন করা হয়েছে। ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্লেয়িং কন্ডিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্টাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে তৃতীয় আম্পায়ার শুধু স্টাম্পিংটাই দেখতে পারবেন। স্টাম্পিং আউট নিয়ে সিদ্ধান্ত এবার সাইড অন ক্যামেরায় দেখানো হবে। এজ হয়েছে কি না তা যাচাই করবেন না আম্পায়ার। ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দলকে আলাদা রিভিউ নিতে হবে। ২০২৩-এর ১২ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকরী হয়েছে।
গত বছর ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বেশ কয়েকবারই দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি স্টাম্পিংয়ের আবেদন করেছেন। তৃতীয় আম্পায়ার তা যাচাই করে দেখেছেন। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ না নিলেও একই সঙ্গে ক্যাচ আউটের ঘটনাও দেখা হয়েছে। নতুন সংশোধনী অনুসারে পুরোনো নিয়ম আর থাকছে না। আইসিসির নতুন সংশোধনী অনুসারে বলা হয়েছে, ‘স্টাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে রিভিউ শুধু স্টাম্পিংয়ের জন্য দেখা হবে। একই সঙ্গে ফিল্ডিং দল ফ্রিতে অন্যান্য ডিসমিসাল যেমন ক্যাচ আউটের জন্য রিভিউ নিতে পারবে না।’
কনকাশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনছে আইসিসি। বদলি খেলোয়াড় চাইলেও বোলিং করতে পারবেন না যদি পুরোনো খেলোয়াড়ের বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এছাড়া কোনো খেলোয়াড় মাঠে চোটে পড়লে চিকিৎসার কাজে সময় নষ্ট হয়। আইসিসি এখানে চোটে পড়া খেলোয়াড়দের চিকিৎসা ও মূল্যায়নের জন্য ৪ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছে।