সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, কিভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীনতার মর্যাদা কি এবং স্বাধীনতা না এলে বাঙালি জাতির কি পরিণতি হতো।
মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ভবিষ্যৎ বংশধরদেরকে আরও জানাতে হবে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়। এটা সম্ভব হয়েছে চলমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সরকারের আন্তরিকতা ও পরিকল্পিত কর্মসূচি। আগে এভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। ২০০৮ সালে দিনবদলের সনদে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশের কারণে করোনা কালেও দেশের অভ্যন্তরে কিংবা বহির্বিশ্বে যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেন থেমে থাকেনি।
তিনি বলেন, জাতীয় দিবসগুলো বর্ণিল আয়োজনে উদযাপনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাতের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভায় আলোচনায় অংশ নেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌছিফ আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহানগর কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন এ কে চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআইর পরিচালক তাহমিন আহমদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ এসএম আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, প্রবীণ লেখক-সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, সিলেট টেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আলম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সৈয়দ তকরিমুল হাদী প্রমুখ।
প্রস্তুতি সভায় ১ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের মাস বরণসহ মহান বিজয় দিবস উদযাপনের ব্যাপক ও বর্ণিল আয়োজনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।