চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে সামান্য বেড়েছে দেশি রসুন, দেশি শুকনা মরিচ, দেশি হলুদ, জিরা, দারুচিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা যায়, ঈদের আগে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচামরিচ এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ২০০ টাকার নিচে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
কাওরান বাজারের খুচরা বিক্রেতা রবিউল করিম কাঁচামরিচ প্রতি পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না।
এদিকে বাজারে নতুন শিম আসতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন এ সবজিটি। এক কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। তারা গাজর ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং পাকা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটি এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, কাকরোল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজিও ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
এ ব্যাপারে রাজধানীর মানিক নগর এলাকার বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার একটু শান্ত মনে হলো। এই সপ্তাহে দুই-একটি ছাড়া অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়েনি।
চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকায় বাজারে সব ধরনের শাকের দাম কমেছে। ব্যবসায়ী বলছেন, আগে সব ধরনের শাকের আঁটি প্রতি ২০ টাকা ২৫ টাকা দরে বিক্রি হতো। এখন সেগুলো ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা। এদিকে হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা খোলা আটা ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন।
এছাড়া প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ভালো ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৫৮ টাকার নিচে কোনও ময়দা নেই। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা কেজি দরে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা দরে। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৯০০ টাকায় নেমেছে।
এদিকে, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এককেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। মুরগির মতো দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের। এক ডজন ডিম আগের মতো ১২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।