নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ: প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ

ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট।

কেন্দ্রের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলরা সিলেট মহানগরীর চৌহাট্টা থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জিন্দাবাজার পয়েন্ট ঘুরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবসহ বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের সমন্বয়ক মালেকা খাতুন সারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরপরই অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করছেন উপদেষ্টামণ্ডলী। নতুন যারা উপদেষ্টা পরিষদে ঠাঁই পেয়েছেন তাদের বেশিরভাগই কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করেন না। আমরা ছাত্র-জনতা অন্তর্বর্তী সরকারের অপর আস্থা রেখেই বলছি, দেশ সংস্কারে যেন উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র-জনতার একটা প্রতিনিধিত্ব থাকে এবং অবশ্যই উপদেষ্টামণ্ডলীতে যেন কোনো ফ্যাসিস্ট রেজিমের দোসরদের পুনর্বাসন না হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবি উঠলেও রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন উপদেষ্টাগণের শপথের বিষয়টা সাংঘর্ষিক কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি ছিল রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকল রাজনৈতিক দলগুলোও যেহেতু একেকটি স্টেকহোল্ডার সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরোধিতা করায় রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়নি। তবে আমরা আশাবাদী, যারা বিরোধিতা করেছে তারা আমাদের পক্ষে অবস্থান করবে এবং রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হবে।

নতুন উপদেষ্টা নিয়োগে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বর্ধিত উপদেষ্টা পরিষদে কোনো বিতর্কিত মানুষের যেন স্থান না হয় যাতে করে ছাত্র-জনতার আশা আকাংক্ষার প্রতিফলন ঘটে।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত এই বিপ্লব। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন যে উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন তা বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দেওয়া শহীদের রক্তের অবমাননা ও অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানী। আমরা আশাকরি ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্র-জনতার সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিবেন।

এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) নতুন করে শপথ নেন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন- ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।