করোনার পর পশ্চিমবঙ্গে নতুন আতঙ্ক অ্যাডিনো ভাইরাস। গত ৩ দিনে রাজ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। হাসপাতালগুলোতে বেড ফাঁকা নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা।
কিন্তু হঠাৎ করে অ্যাডিনো ভাইরাসের এতটা বাড়াবাড়ি কেন? শুধুই কি বাচ্চারা, না কি বড়দেরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে?
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের এই বাড়াবাড়ি কোভিডের ইফেক্ট। অ্যাডিনো ভাইরাস কিন্তু বরাবরই ছিল। তবে প্রাথমিক চিকিৎসায় সেরে যেত বলে আগে এতটা সাড়া পড়েনি। এখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার জন্য পুরোপুরি দায়ী কোভিড। বড়রাও অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যারা আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়েছে অনেকটা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক বেশি মানুষ।
শুধু অ্যাডিনো ভাইরাস নয়, কোভিড পরবর্তী লক্ষণ হিসেবে যেকোনো রোগেই আক্রান্ত হতে পারেন মানুষ, বলেন চিকিৎসকরা।
কলকাতার বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ড. ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো রোগ বাড়ছে, আবহাওয়ার পরিবর্তনও যার জন্য দায়ী। এই সময়ে এমনিতেই জ্বর, সর্দিকাশিতে ভোগেন মানুষ। অ্যাডিনোতে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট।
রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, কিন্তু এই ভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক পরার দিনে ফিরে যেতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ঘরে প্যারাসিটামল রেখে দেওয়া উচিত। জ্বর বা গা-হাত-পায়ে ব্যথাটাকে বাড়তে দেওয়া চলবে না।