নগরীতে কিশোর খুনের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৪

সিলেটে জন্মদিনের কেক কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে কিশোর মো. আলী খুনের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৪ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার দত্তগ্রাম এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। 

রোববার (০৫ মে) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামীদের রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ফরহাদ মিয়া (২০) নূর নবী (১৯), সাকিব আহমদ (১৯) ও রাহিম আহমদ (১৯)। গ্রেফতারের পর প্রধান আসামী ফরহাদ মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর চালিবন্দরস্থ সুজনের  গ্যারেজের পেছনে ময়লার ভাগাড় হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ছাড়ারপাড় এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনাা ঘটে। নিহত কিশোর মো. আলী (১৭) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের নুর আলীর ছেলে। বর্তমানে ওই কিশোর নগরীর ছড়ারপাড় এলাকার রাহাত মিয়ার কলোনিতে থাকতো

পু‌লিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ছাড়ারপাড় এবং কামালগড় এলাকার দুই পক্ষের কিশোরদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মো. আলী তার এক বন্ধুর জন্মদিনের আয়োজনে যায়। কামালগড় এলাকার কয়েকজন কিশোরও ওই অনুষ্ঠানে যায়। একপর্যায়ে জন্মদিনের কেক কাটা নিয়ে ছাড়ারপাড় এবং কামালগড় এলাকার কিশোরদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মো. আলীকে প্রতিপক্ষরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন মো. আলীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চি‌কিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত আলীর সফিনা খাতুন বাদী হয়ে ঘাতক ফরহাদ মিয়াসহ আরো ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। 

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, খুনের ঘটনায় প্রধান আসামীসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।