সরকার নির্ধারিত মূল্য চিনি বিক্রি নিশ্চিত করা এবং অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করতে বাজার তদারকিতে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও চিনির মূল্য স্বাভাবিক রাখতে অভিযান পরিচালনা করেছে অধিদপ্তর।
শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর ভার্থখলা বাজার, কাজীর বাজার, বন্দর বাজার ও কালীঘাট বাজার ও লালদীঘির পাড়ে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর ও র্যাব-৯।
এসময় সরকার নির্ধারিত খোলা চিনি ৯০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকা দামে বিক্রি, মূল্য তালিকা প্রদর্শণ, পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। তদারকিকালে বন্দর বাজারের মনির এন্ড সন্সকে মূল্য তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রির অপরাধে ২ হাজার টাকা, কালীঘাটে মূল্য তালিকা না রাখা ও অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রির অপরাধে সিলেট গ্রোসারি শপকে ৩ হাজার টাকা, পাকা রশিদ সংরক্ষণ না করা ও অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রির অপরাধে মাহের ব্রাদার্সকে ৫ হাজার টাকা ও একই অপরাধে লালদিঘির পাড়ের আল মদিনা সুপার শপকে আরো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময়, কালীঘাট বাজারের সকল পাইকারি বিক্রেতাদেরকে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি না করার জন্য সতর্ক করা হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিল গেটে এবং বড় বড় চিনির আড়ৎগুলোতে মূলত চিনির দাম বেশি রাখায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। অভিযানে সার্বিক সহায়তায় ছিলেন র্যাব-৯ এর একটি টহল টিম।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিলেটের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম মাসুদ।
তিনি জানান, খোলা চিনির সরকার নির্ধারিত মূল্য ৯০টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ৯৫ টাকা। কিন্তু অনেকেই ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে। কি কারণে হঠাৎ চিনির দাম বাড়ছে বা কারা এজন্য দায়ী বিষয়টি দেখতে মূলত এ অভিযান। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।