বয়স ৩৯, রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বছরের বেশিরভাগ সময়। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সফল অধিনায়ক রাজনীতির মাঠেও নিজের জাত চেনাচ্ছেন। সম্প্রতি ফের বল হাতে মাঠে নেমে প্রমাণ করেছেন, তিনি এখনও নিভে যাননি। বিশেষ করে তার নেতৃত্বে চলতি বিপিএলে দাপট দেখাচ্ছে গত আসরগুলোতে হতাশার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স। তার দল এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে সবগুলো জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
প্রথম চার ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে ক্ষুরধার ছিলেন মাশরাফি। কিন্তু ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচে মাত্র এক ওভার বল করেন তিনি। নতুন বলে তো নয়-ই, তাকে পাওয়া যায়নি মাঝের ওভারেও। ২০ ওভারের ইনিংসে ডানহাতি পেসার বোলিং করলেন মাত্র ১ ওভার। সেটাও ইনিংসের ২০তম ওভারে। কোনো উইকেট পাননি। রান দিয়েছেন কেবল ৪। শেষ বলে রান আউট করেছেন নাসির হোসেনকে। ফিল্ডিংও করেছেন বেশ অস্বস্তি নিয়ে, ছিল জড়তা, সমস্যা হচ্ছিল দৌড়াতে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানালেন, ধারাভাষ্যে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। তাও আবার পেস লিজেন্ড কার্টলি অ্যামব্রোসকে।
ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে জেতার পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাশরাফি তাকে পেয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন। এবারের প্রতিযোগিতায় ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি।
১৯৯৯ সালে অ্যামব্রোসের ঢাকায় বোলিং করার স্মৃতি রোমন্থন করেন মাশরাফি। এরপর জানতে চান ধারাভাষ্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন কি না সাবেক পেসার? উত্তরে অ্যামব্রোস বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমি ধারাভাষ্য দেওয়া শুরু করি।’ মাশরাফি পরে বলেন, ‘জানেন কেন আপনাকে আমি এটা জিজ্ঞাসা করছি?’ অ্যামব্রোস জানতে চাইলে সিলেট অধিনায়ক বলেন, ‘কারণ আপনার সঙ্গে শিগগিরই সেখানে দেখা হবে। নিজের ইংরেজি পোক্ত করার চেষ্টায় আছি।’
এর আগে ২০১৯ সালে মাশরাফিকে ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ ও ভারতের দিবারাত্রির টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি তা ফিরিয়ে দেন। অবশ্য ম্যাচটি মাঠে বসেই দেখেন তিনি।