ধান্দার রাজনীতি নয়, স্বচ্ছ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। পাশাপাশি তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘৫১ বছর পূর্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু আজ আমরা পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে আজ সমাদৃত। ত্রিশ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পদ্মা সেতু নির্নাণ করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে আমরা দেখেছি এক জন মানুষও না খেয়ে মারা যায় নি। যা জননেত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বের ফসল।’
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় শেখঘাট আজাদ সেন্টারে ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে থেকেই নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হবে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। স্বচ্ছতার সাথে রাজনীতি করে এগিয়ে যেতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার কেউ নই।
সিটি কর্পোরেশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়নের জন্য প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা ঘাট সবকিছু ডুবে যায়। ধান্দা করে টাকা পয়সা লুটে নিচ্ছে। আগামীতে তাদের সঠিক জবাব দিতে হবে। ওয়ার্ডকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোকন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য প্রদান করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, সভাপতি ও আমার কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার, আমরা কোনো পকেট কমিটি করবো না। কোনো হাইব্রিডকে দলের নেতৃত্বে আনা হবে না। কোনো ভাই লীগকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। যারা যোগ্য ও ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিত তাদেরকে দিয়েই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে অন্যান্য ওয়ার্ডেও যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দীন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম পুতুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিম জুনেল, সুদীপ দে, রোকসানা পারভীন, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, রকিবুল ইসলাম ঝলক, জুমাদিন আহমদ, ইলিয়াস আহমদ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারি, সালাউদ্দিন বক্স সালাই, সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, মাহবুব খান মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদকের পরিচালনায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলরবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ওয়ার্ডের সভাপতি হিসাবে রোকন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মানিক মিয়াকে নির্বাচিত হয়।