সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আসাদ মিয়ার বিরুদ্ধে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আসা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা কৌশলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী মারজান ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মারুফের অভিভাবক শাহেদা আক্তার এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আয়নাল হকের অভিভাবক আইনুর বেগম এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে শিক্ষাবৃত্তির টাকা আসে। সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে দপ্তরি অভিভাবকের মোবাইল ফোনের গোপন পিন নম্বর নিয়ে নেয়। পরে সেই গোপন পিন নম্বর দিয়ে মোবাইল থেকে টাকা উত্তোলন করে দপ্তরি আসাদ মিয়া।
ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকরা শিক্ষাবৃত্তির টাকা দোকান থেকে উত্তোলন করতে গেলে জানা যায়, আসাদ মিয়া তাদের টাকা উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসাদ মিয়া টাকা উত্তোলনের কথা অস্বীকার করে।
অভিযুক্ত দপ্তরি আসাদ মিয়া বলেন, ‘আমি এমনটি করিনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’