সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং ও তাদের সহযোগী এবং আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কে ধর্মপাশা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সংগঠনের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মজুমদার, জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস, দপ্তর সম্পাদক আযহারুল ইসলাম দিদার, সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন, জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী, সেলবরষ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইকরাম হোসেন, জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক, ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আফজাল পিকে প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি পেশার পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। গত ১২ জুলাই ধর্মপাশা উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে ধর্মপাশা গ্রামবাসী স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করে। পরে গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে ধর্মপাশা উপজেলাকে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে, জুয়া ও কিশোর অপরাধমুক্ত করার লক্ষে ধর্মপাশা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার পর একটি পক্ষের গা জ্বালা শুরু হয়েছে। মাদক সম্রাটদের মাদক কেনাবেচা যদি বন্ধ হয় তাহলে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদক পাবেনা। আর মাদক না পেলে তারা সেবনও করতে পারবে না। দ্রুত সকল মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
ধর্মপাশা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মপাশা উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমরা একত্রিত হয়েছি। অনতিবিলম্বে ধর্মপাশার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং ও তাদের সহযোগী এবং আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’