সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে সুলেমান মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (০২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে স্থানীয় এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি থানার সামনে দিয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে অন্তত তিন শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সংঘর্ষে নিহত সুলেমান মিয়ার মা রুনা খানম, স্ত্রী তানিয়া আক্তার, বোন রোজিনা আক্তার, সংঘর্ষে আহত ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী নেতা সারোয়ার জাহান মামুন, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দ্বীন ইসলাম, জয়শ্রী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রয়েল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ইবাদুল মিয়া প্রমুখ।
জয়শ্রী ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাসেল আহমেদ এবং একই গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের মধ্যে স্থানীয় মসজিদের ঘাটে ট্রলার ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হলেও নজরুলের লোকজনের মধ্যে বিরোধের জেদ রয়ে যায়। এর জেরে গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে রাসেল মিয়া তার লোকজন নিয়ে সাতারিয়া হাওরে বোরো জমিতে সেচের নালা নির্মাণ করার সময় পরিকল্পিতভাবে নজরুল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রাসেল মিয়া ও তার ভাই মিজানুর রহমান, রতন মিয়া, দ্বীন ইসলাম, লিটন মিয়া, শহিদুল ইসলামের ছেলে সুলেমান মিয়া, লোকমান মিয়া, আলী উসমানের ছেলে কবির মিয়াসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ওইদিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২ জানুয়ারি রাতে শান্তিপুর গ্রামের আহত দ্বীন ইসলাম নজরুল ইসলামসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ধর্মপাশায় থানায় মামলা করেন।
এদিকে ৯ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমান মিয়ার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতেই রাতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের নাগডড়া গ্রাম থেকে মামলার আসামি নাঈম মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার রাতে এ মামলার আরও ৬ আসামি নজরুল ইসলাম, সাব্বির মিয়া, জাকির হোসেন, তাকাব্বির মিয়া, সেলিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিনকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩।
