ধর্মপাশায় ঘুষের বিনিময়ে চেক হস্তান্তরের অভিযোগ

অফিস সহকারী জাকির হোসেন ও জারীকারক বিপুল চন্দ্র দাস।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় টাকার বিনিময়ে পিআইসিদের কাছে চেক হস্তান্তরের অভিযোগ ওঠায় ইউএনও অফিসের দুই কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁরই কার্যালয়ের ওই দুই কর্মচারীকে আগামি ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী জাকির হোসেন ও জারীকারক বিপুল চন্দ্র দাস।

এর আগে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চেক প্রদানের সময় পিআইসিদের কাছ থেকে টাকা রেখে চেক প্রদান করার অভিযোগ উঠে ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের দ্বিতীয় পর্যায়ে ছাড় হওয়া বরাদ্দের টাকার চেক প্রদান করার সময় এক হাজার টাকা করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে পিআইসিদের বিরুদ্ধে। এ সময় অনৈতিকভাবে টাকা রাখার দৃশ্যটির ভিডিও ধারণ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ধর্মপাশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কর্যালয়ের অফিস সহকারী জাকির হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যেসব পিআইসির সভাপতি খুশি হয়ে টাকা দিয়েছেন তাদের কাছ থেকে আমি টাকা রেখেছি।

ধর্মপাশা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি শীতেষ চন্দ্র সরকার কারণ দর্শানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপযুক্ত জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।