ধর্মপাশায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় কালিজানা গ্রুপ ফিসারীর জলমহালের স্কীমের অন্তর্ভূক্ত খাস কালেকশন ও অবৈধভাবে মাছ শিকার বন্ধের দাবি জানিয়েছে ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি বেনু মিয়া।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর দুইটায় উপজেলা বিআরডিবির সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।

বেনু মিয়ার লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ২৮১.৫৯ একরের কালিজানা গ্রুপ ফিশারী জলমহাল জেলা প্রশাসন থেকে ছয় বছরের জন্য (১৪২৯ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত) ইজারা পায় ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড। এ জলমহালের স্কীমের অন্তর্ভূক্ত ও আশপাশে বালিজুড়ি মৌজার ৪৫৬১ নং দাগের ২৪.০৭ একর, বীর মৌজার ১২১, ১২৩ ও ১৩০ নং দাগের ৬.৩০ একর, লংকাপাথারিয়া মৌজার খতিয়ানের ৬৫০১ দাগের ১৯.৮০ একর ও রাজাপুর উত্তর মৌজার ৮.১৩ একর জলাশয় রয়েছে। ওইসব জলাশয়ে কালিজানা গ্রুপ ফিশারী জলমহালের মাছ সহজেই চলে যায়। ফলে ওইসব জলাশয় ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে ইজারা পাওয়ার জন্য শুরু থেকে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে আসছে। এবারও আবেদন করা হলে চলতি বছরের ১৫ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালযে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তার পরেও ওইসব দাগের জলাশয়গুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে অন্যত্র খাস কালেকশনে ইজারা দেওয়া হয়। ফলে খাস কালেশন প্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাদের জলাশয়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে তিনটি বড়জাল ও ৪০/৫০টি খনাজাল দিয়ে কালিজানা গ্রুপ ফিসারীর জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এতে ভাটাপাড়া উদয়ন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

বেনু মিয়ার ব্যবসায়ীক অংশীদার মো. সোহেল মিয়া বলেন, মাছের পোনা ছোট থাকায় এই সময়ে নীতিমালা অনুযায়ী যেখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ সেখানে বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের সামনে খাস কালেকশনে নেওয়া সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান বড় জাল পেতে মাছ শিকার করছেন। এতে আমরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবো। তাই এসব খাস কালেকশন বাতিলের দাবি জানাই।

তবে এব্যাপারে সেলবরষ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফরিদ খোকা বলেন, আমরা আমাদের খাস কালেকশন পাওয়া জলাশয়ের বাইরে যাইনি। অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ সত্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি শুনেছি। তবে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এ ব্যাপারে সরেজিমন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।