আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। আর এই সময়েই সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। আর আগামীকাল সমাবেশের দিনে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের কথা থাকলেও আজ শুক্রবার সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস সিলেট ছেড়ে যায়নি।
দূরপাল্লার বাসের এই অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
নগরীর কদমতলী বাস টার্মিনাল এলাকা, হুমায়ুন রশিদ চত্বর ও দরগাহ গেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসের কাউন্টারগুলো বন্ধ। এসব কাউন্টার ও বাসের পরিবহন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মচারী জানান, আজ সকাল থেকে সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
ঢাকাগামী যাত্রী সুবির দাস জানান, তিনি সিলেটে এসে আটকা পড়েছেন। ঢাকায় যাওয়ার কোনো বাস পাচ্ছেন না। রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে দেখেছেন সেখানে ঢাকাগামী কোনো ট্রেনের আসন ফাঁকা নেই। এ অবস্থায় তিনি বেশ বিপদে পড়েছেন।
অন্যদিকে দেখা গেছে, টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম। জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে মাত্র কয়েকটি বাস সিলেটে এসেছে।
সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির জানান, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর থাকায় দূরপাল্লার কোনো বাস ঢাকা বা অন্য গন্তব্যে যাচ্ছে না। কারণ ওইসব পথ দিয়েই বাস যাতায়াত করে থাকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেছেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।