দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সমাবেশ

স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হলেও শ্রমিক শ্রমজীবীসহ আপময় জনগণের মুক্তি আসেনি। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সময়ে দ্রব্যমূলের যে লাগামহীন উর্দ্ধগতি ছিল তা বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের আমলে তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ সরকার পতন হলেই শ্রমিক শ্রমজীবী জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। স্বৈরতান্ত্রিক বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে সাম্রাজ্যবাদের এক দালালের পরির্বতে আরেক দালাল ক্ষমতায় এসে স্বৈরতন্ত্রকেই পাকাপোক্ত করছে বলে মন্তব্য করেন নেতৃবৃন্দ।

২২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় সুরমা পয়েন্টে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির অন্যতম নেতা রুহুল আমিন- এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ছাদেক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখর সেন, দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট শাহপরান থানা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা কমিটির আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন কোষাধ্যক্ষ মহিদুল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের খুন-গুম-গণহত্যা, বেপরোয়া দুর্নীতি-লুটপাট ও দমন-পীড়ন-শোষণ-নির্যাতনের শ্বেতপত্র প্রকাশ এবং ক্ষমতাসীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে এদেশে মার্কিনের অবস্থান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক রণনীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসী যুদ্ধে সম্পক্ত করার বিপদ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। প্যালেস্টাইন, লেবানন, ইরাক-ইরান, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ পৃথিবীর দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদীরা আগ্রাসন চালিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় বা প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। তাদের অতি উৎপাদন সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য পৃথিবীর দেশে দেশে নিরীহ জনগণের উপর তাদের অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশকেও তারা এই যুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে চায়।

বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে সাম্রাজ্যবাদের দালাল অন্তবর্তীকালীন সরকার বা নির্বাচিত সরকার যেই সরকার ক্ষমতায় আসুক না কেন, শিক্ষা চাকুরী সহ আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের সমাধান তারা করতে পারবে না। তাই বৈষম্যহীন ও স্বৈরাচারী শাসনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আশু লক্ষ্য হচ্ছে সা¤্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালাল সমূলে উচ্ছেদ করে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা।