২০১৪ সালের পর এক আসর বিরতি দিয়ে ফের টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ‘গোল্ডেন বল’ জিতলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি।
২০১৪ সালের ফাইনালে পরাজয়ের গ্লানি তাকে গ্রাস করেছিল। কিন্তু এবার অবশ্য ফুটবল দেবতা দুহাত ভরে দিয়েছে তাকে। ৭ গোল করেছেন, করিয়েছেন তিনটি। তাতে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল ঠিকই উঠলো বিশ্ব জয়ী মেসির হাতে।
আট বছর আগে রিও দি জেনেইরোতে বিশ্বকাপ ট্রফির কাছে যেয়েও ছুঁয়ে দেখা হয়নি তার। পেয়েছিলেন সেরা খেলোয়াড়ের ট্রফি। পরের প্রায় এক দশকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়েছেন লিওনেল মেসি। এসে গেছেন ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে।
শেষ প্রান্তে এসে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হাতে উঠল তার। অধরা বিশ্বকাপ জিতলেন মেসি।
আরও পড়ুন : অবশেষে মেসির হাত ধরে আর্জেন্টিনাই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন
বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) হয়ে ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব সম্মানই জিতেছেন। আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম শিরোপার স্বাদ পান গত বছর কোপা আমেরিকায়।
তারপরও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তার নজর ছিল ফুটবলের সবচেয়ে আরাধ্য ট্রফির দিকে। ধীরে কিন্তু নিশ্চিন্তে লক্ষ্যে দিকে এগোচ্ছিলেন মেসি।
পঞ্চমবারের চেষ্টায় বিশ্বকাপ জিতলেন মেসি। শুধু জিতলেনই না, পুরো টুর্নামেন্টেই নিজের করে রাখলেন। ফাইনালে জোড়া গোল করার পাশপাশি পেনাল্টি স্পট থেকেও নিজের শটে গোল করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এমনকি জয় করলেন ‘গোল্ডেন বল’।
আরও পড়ুন : গোল্ডেন বুট উঠলো এমবাপের হাতে
টাইব্রেকের শেষ শটটি স্কোর হওয়া মাত্রই উল্লাসে ভেঙ্গে পড়েন মেসি। সতীর্থ সবার কাছে যেয়ে তাদেরকে জড়িয়ে ধরে উদযাপন করেন।
৭টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন মেসি। একই সঙ্গে নিশ্চিত করেন গোল্ডেন বল।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে প্রতিটি রাউন্ডেই গোল করেছেন মেসি।
বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন যে এটিই আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ হতে যাচ্ছে। শেষটা এর চেয়ে ভালো করতে পারতেন না মেসি।
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপে সেরা তরুণ ফুটবলার আর্জেন্টিনার ফের্নান্দেজ
ডিয়েগো ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ম্যারাডোনার ৩৬ বছর পর লুসাইন আইকনিক স্টেডিয়ামে ট্রফি জেতেন মেসি।
বিশ্বকাপ জয়ের পর ব্যক্তিগত পুরস্কারেও কমতি ছিল না তার। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল জেতেন তিনি।