মুজিব শতবর্ষে তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দিত দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২৬ গৃহহীন পরিবার। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে ঘর হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরমেশ্বরীপুর ও টেবলাই গ্রামের উপকারভোগীরা।
তবে সম্প্রতি ঘর নির্মাণ কাজ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে একটি ‘কুচক্রী মহল’ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের জড়িয়ে অহেতুক প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে উপকারভোগীরা প্রতিবাদ এবং এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এলাকার গুটিকয়েক লোক ফেসবুকে নানাভাবে মিথ্যাচার করে আসছে। তারা মূলত চেয়ারম্যান, মেম্বারদের বিরোধিতা করতে এসব করে আসছে। আমরা নিজেরা নির্মাণ কাজের তদারকি করে আসছি। ঘর পাওয়ার বিনিময়ে কোনো টাকা পয়সা আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।’
পরমেশ্বরীপুর গ্রামের উপকারভোগী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘কাজ সঠিকভাবেই হচ্ছে। নিজেরাই মিস্ত্রী দিয়ে কাজ করাচ্ছি। কোনভাবে টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি।’
একই গ্রামের আনোয়ারা বেগম, জুবেদা খাতুন, সালমা বেগম, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বলেন, ‘ঘর করতে আমরা একটা টাকাও কাউকে দেইনি। কিছুসংখ্যক লোক চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে জেদ মেটাতে অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
টেবলাই গ্রামের উপকারভোগী বকুল মিয়া, সাবিনা আক্তার, আনুমিয়া, তোষামিয়া, ফাতেমা বেগম প্রমুখ বলেন, ‘আমাদের ঘর যাতে না হয় এ জন্য অনেকে বিরোধিতা করছে। আমরা কাউকে টাকা পয়সা দেইনি।’
সদর ইউপি’র ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘরের কাজ ড্রয়িং অনুযায়ী প্রশাসনের তত্বাবধানে কাজ করা হচ্ছে। আমি তিনবারের ইউপি সদস্য একধরনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং আমার বিরোধী লোকেরা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।’
ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ভুট্টো বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ প্রশাসনের তদারকিতেই হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে কিছু লোক অহেতুক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের নিয়ে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করছে, আমি এর বিচার চাই।’
দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর স্থানীয় প্রশাসনের তত্বাবধানে সঠিকভাবে করা হচ্ছে। তারাও তদারকি করছেন। অহেতুক কিছু লোক নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হতে দেওয়া হবে না। আমরা সব সময় এর নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’