দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। শনিবার থেকে উপজেলার সবকয়টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে আবারও সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার সাথে যোগাযোগের সবকটি সড়ক। পানি বন্দি হয়েছে প্রায় শতাধিক গ্রামের লোকজন। এতে রাস্তা ঘাট ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। প্রায় মাস খানেক ধরে একটানা মুষলধারে বৃষ্টিপাত এবং ভারত থেকে পানি নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও সুরমা, খাসিয়ামারা, ও চিলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইতোমধ্যে দোয়ারাবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন, সুরমা ইউনিয়ন, মান্নারগাঁও ইউনিয়ন ও নরসিংপুর ইউনিয়ন।
এদিকে বন্যার কারণে উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ছাতক দোয়ারার একমাত্র সড়কের কয়েকটি অংশ ও উপজেলার উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সুরমা ইউনিয়ন, বোগলা বাজার ইউনিয়ন, লক্ষিপুর ইউনিয়ন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও নরসিংপুর ইউনিয়নের।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, এখনও নদ নদীর পানি বাড়ছে, উপজেলায় মোট ১৪ টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। আজকে আমরা বেশ কিছু পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছি।