দোয়ারাবাজারে অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও মোখলেছুর রহমানকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন।
এ ঘটনায় রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আহত বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজির আহমদ বাদী হয়ে শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীসহ চারজনকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা (নং- ১৩) দায়ের করলে ওই রাতেই অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও মোখলেছুর রহমানকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
পালিয়ে থাকা অভিযুক্ত অপর দু’জন হলেন একই গ্রামের সোহাইব আহমদ ও ফয়জুর রহমান।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে রাতেই অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি।’
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহম্মদ রোববার সকালে কলেজে আসলে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন অফিস কক্ষে ঢুকে তার সহযোগীদের উপস্থিতিতে তাঁকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। পরে অধ্যক্ষ আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওতপেতে থাকা বড়খাল গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মোক্তাদির (কাপ্তান) মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান ও ফয়জুর রহমান, আবদুল মতিনের পুত্র সোহাইব আহমদ রুমের দরজা বন্ধ করে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। চেয়ারম্যানের পরিবারকে নিয়ে কেন কটুক্তি করা হল; এসব বলে লোহার পাইপ দিয়ে চারজন মিলে অধ্যক্ষকে বেধড়ক মারপিট করে।
পরে অধ্যক্ষের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাদের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।