দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩৬টি ভারতীয় ও ৮ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। এসময় চোরাই গরু বহন করার দায়ে ১টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা জব্দ করা হয়।
শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক (ছাতক-দোয়ারাবাজারের সার্কেল) ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বদরুল হাসানের নেতৃত্বে এস আই মোহাম্মদ সম্রাজ মিয়া, এস আই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান ও এসআই মুহাম্মদ আসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেন।
পুলিশ জানায়, দোয়ারাবাজার থানাধীন গিরিশনগর মসজিদের সামনে মহব্বতপুর থেকে দোয়ারাগামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পানাইল নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের পুত্র মো. জামাল মিয়া জালাল (৫০), মৃত মখলিছ আলীর পুত্র মো. আলা উদ্দিন আলাল (৩০), মো. বাবুল হোসেন (২৮) ও মো. ছোয়াব আলী ও ভবানীপুর (জাঙ্গালী শ্রী) এলাকা থেকে মূত সৈরত আলীর পুত্র আব্দুল বাছির মিয়া (৩৮)কে আটক করা হয়। এসময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৪টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে আটককৃত আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১১টায় দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাঁও গ্রামে খাসিয়ামারা নদীর নৌকাঘাটে অভিযান পরিচালনা করে জামালগঞ্জ থানার চানপুর গ্রামের মো. আমীর হোসেনের পুত্র মো. রাদেন মিয়া (২২), আন্ধাইরগাঁও গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের পুত্র আব্দুল কাদির (২৭), বাঘাহানা গ্রামের মো. করিম খানের পুত্র বাচ্চু খান (৪৫) ও মৃত লোকমান শেখের পুত্র মো. আফসর উদ্দিন (৫০)কে আটক করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ২২টি ভারতীয় গরু এবং গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি নৌকা জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামিগণ চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রাখায় তাদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বদরুল হাসান বলেন, ‘৩৬টি ভারতীয় গরু ও চোরাচালানের সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। চোরাচালান বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’