দোয়ারায় গুড়িয়ে দেওয়া হলো অবৈধ ৩ দখলদারের বসতঘর

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আদালতের রায়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ তিন দখলদারের বসতঘর ও আংশিক আরো দুইটি ঘর।

শনিবার (০৬ মে) উপজেলা সদরের মুরাদপুর গ্রামে সহকারী জজ আদালত দোয়ারাবাজারের ডিক্রির প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজের স্বত্ত মোকদ্দমার আদেশে অবৈধ দখলদারদের তিন বসতঘর সহ আরো দুইটি ঘর গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোর্ট কমিশনার ও জেলা দায়রা জজের নাজির মো. কামরুজ্জামান, দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল খালেক, জেলা কোর্ট কমিশনার মো. তমিজ উদ্দিন, দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর, এসআই মিজানুর রহমান, এস আই নুর আহমদ, এএসআই নোমান আহমেদসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এসময় উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, উপজেলা সদরের মুরাদপুর গ্রামের উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার (ফুলচেরা) বেগম গত ২০০১ সালে রেকর্ডীয় মালিক সিতার উদ্দিনের নিকট সাফকাবলা দলিলে ৩৫ শতক ভূমি ক্রয় করেন। এর মধ্যে ৬৩২/১ দাগের ৯ শতক বসত ভিটে জবর দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করেন মাঝেরগাঁও গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর পুত্র আঞ্জব আলী, বাদশাহ মিয়ার পুত্র হেলাল মিয়া ও লতিব আলীর পুত্র কামাল উদ্দিন, মুরাদপুর গ্রামের মৃত. মুঞ্জুর আলীর পুত্র মাসুক মিয়া ও ফারুক মিয়া। মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত বাদী সমাছুন নাহারেরর পক্ষে ডিক্রি জারি করেন। শনিবার আদালতের নির্দেশে অবৈধ বসত ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার (ফুলচেরা) বলেন, ‘আঞ্জব আলীসহ দখলদাররা আমার ভূমিতে অবৈধভাবে দীর্ঘ দিন যাবৎ দখল করে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমি আদালতের শরণাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে ডিক্রি জারি করেন। আদালত আমার ন্যায্যতা পাওনা সঠিকভাবে সমঝিয়ে দিয়েছেন।’