দোয়ারাবাজারে ছয়টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের মঙ্গলপুর বাজারে আগুন পুড়েছে ছয়টি দোকান ঘর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আগুনের সুত্রপাত হয়েছিল বদরুল ইসলামের ভুষিমালের দোকান থেকে। পরে একে একে ছয়টি দোকান পুড়ে যায়। তবে উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের কোন গাড়ি পৌছার মত সুযোগ না থাকায় স্থানীয় লোকজন প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বদরুল ইসলামের ভুষিমালের দোকানে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। একইরকম আব্দুল হামিদের ফার্মেসী প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ টাকা, আব্দুল জলিলের ফিড এবং ভুষিমালের দোকানে প্রায় ১ লক্ষ টাকা, আল আমিনের হার্ডওয়্যার ও ভুষিমালের দোকানে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা, সামছুল ইসলামের ফার্মেসীতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা এবং মো.নুরুল হকের পোল্ট্রিফার্ম ও ভুষিমালের দোকানে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
বাজারের ব্যাবসায়ী আব্দুন নুর জানান, রাত প্রায় সাড়ে এগারো টার দিকে হটাৎ বদরুল ইসলামের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুন দেখে আমরা সহ আশপাশের গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগু নেবভাতে সক্ষম হই।
রুজিনা ফার্মেসী মালিক ডাক্তার মো. আব্দুল হামিদ জানান, আমার দোকানে প্রায় এক কোটি দশ লক্ষ টাকার ঔষধ ছিল সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসের কোন সহযোগিতা পাইনি। আমরা এমন একটা জায়গায় আছি দোয়ারাবাজার থেকে গাড়ি আসতে পারেনা সুরমা নদীর কারণে, ছাতক থেকে গাড়ি আসতে পারে না আন্দারিগাঁও এলাকায় মূল সড়ক ভাঙ্গা, সুনামগঞ্জ থেকে গাড়ি আসতে পারেনা নোয়াগাঁও ভাঙ্গা, জাউয়াবাজার থেকে গাড়ি আসতে পারে না পুরো সড়ক ভাঙ্গা। আমরা আছি একটা দ্বীপের মত এলাকায় বাস করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ জানান, আগুনে ছয়টি দোকান পুড়েছে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দোকানগুলোর তালিকা করেছি। তাদের সহযোগিতার জন্যে আমরা মন্ত্রনালয়ে তথ্য পাঠিয়েছি।