পনের দিনের ব্যবধানে ফের প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে গ্রামীন সড়ক। অনেকের বাড়িঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে।
এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে ৬ ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন মানুষজন।
এদিকে, বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুরমা, চেলা, খাসিয়ামারা ও চিলাই নদীর পানি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবার ও শনিবার সকালে সীমান্তবর্তী এলাকায় পাহড়ি ঢলের কারণে নোয়াগাঁও, ইদ্রিছপুর ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের বিজিবি ক্যাম্পের পাশের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বোগলাবাজার ইউনিয়নের কইয়াজুড়ি, পেকপাড়া, বাগাহানা, বোগলা, লক্ষিপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, দৌলতপুর, ইদ্রিছপুর বক্তারপুর, খাগুরা, মহব্বতপুর, বহরগাঁও গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর পানিতে তলিয়েঢ গেছে। এতে অসংখ্য পরিবার বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এদিকে, দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজার ও দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুরমা, লক্ষিপুর, বোগলাবাজার, বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়ন।
সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, রাত পোহালেই ঈদুল আযহা। এ অবস্থায় আমাদের ঈদ করতে হচ্ছে। ঘরের বারান্দায় পানি উঠেছে। আতঙ্কে রাত কাটছে সবার।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহার নিগার তনু বলেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে আর পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কয়েকটি জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে বেশ কিছু এলিাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত কেো হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহযোগীতায় একটি হটলাইন নম্বর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। কোন সমস্যা হলে আমারা তাৎক্ষণিক এলাকায় পৌঁছার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।