দোয়ারাবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পাঁচটি ইউনিয়ন।
রবিবার (২ জুলাই) দোয়ারাবাজার-বোগলাবাজারের শরীফপুর, দোয়ারাবাজার-বাংলাবাজার সড়ক, দোয়ারাবাজার -ছাতক সড়কের মাজেরগাঁও এবং হাসপাতাল সংলগ্ন কয়েকটি পয়েন্ট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে লক্ষিপুর ইউনিয়ন, বোগলাবাজার ইউনিয়ন, সুরমা ইউনিয়ন, বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও নরসিংপুর ইউনিয়ন। একই সময়ে দোয়ারা বাজারের-ছাতক সড়কে পানি ওঠায় বিভাগীয় শহর সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী উপজেলাটি।
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার কয়েকটি পাহাড়ি নদী খাসিয়ামারা, চিলাইনদী, চেলানদী, মরাচেলানদী ও সুরমাসহ সবকটি নদ-নদী ও হাওরের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কে পানি ওঠার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে পাঁচ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। সড়কে পানি ওঠার ফলে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন না ঈদে বাড়ি ফেরা লোকজন।
উপজেলার মাজেরগাঁও গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম জানান, ভারতে এবং বাংলাদেশে গত তিন চারদিন ধরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় ঢলের পানি নামছে, এতে করে বেশ বড় বন্যা হওয়ার আশংঙ্কা করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর আমার বাড়ির সামনে ছাতক-দোয়ারাবাজার মূল সড়ক অল্প বন্যা হলেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতি বছর বলে আসছি এই অংশটুকু উঁচু করারজন্য। কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করছেনা।
দোয়ারাবাজার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানালেন, সিলেট থেকে রোগী নিয়ে বাড়িতে যাবার পথে দোয়ারাবাজার হাসপাতাল এলাকায় আসার পর দেখি সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই জায়গায় গাড়ি বদল করে বাংলাবাজারে যেতে হচ্ছে। উপজেলার মাজেরগাঁও গ্রামের পাশে বৃটিশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে ভেঙে কষ্ট করে রোগী নিয়ে বাড়িতে পৌঁছাতে হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু জানান, বর্তমানে ভারতে কম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কয়েকটি ইউনিয়নে যোগাযোগ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি। যদি বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয় তাহলে আমাদের ১৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রাথমিক ভাবে প্রস্তত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্ততিও রয়েছে।