দোয়ারাবাজারে ওজনে চাল কম দেওয়ায় ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ

দোয়ারাবাজারে ১৫ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

সোমবার বিকেলে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লিয়াকতগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তবে ডিলাররা বলছেন, চাল কম দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়, একটি পক্ষের উস্কানিতে এসব সাজানো হয়েছে।

এদিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে একসঙ্গে দুই মাসের ৯ শ টাকায় জনপ্রতি ৬০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ১০ কেজি করে চাল কম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওইদিন বিকেলে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সরজমিন ঘটনার সত্যতা তদন্ত করেন।

একাধিক ভুক্তভোগী জানান, খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণে প্রতি বস্তায় ১০ কেজি করে কম দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অপর দিকে এলাকাবাসীর ফোন কল পেয়ে ৭ নং লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল বিরণ বন্ধ করান এবং অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউনিয়নে ভুক্তভোগী রয়েছেন প্রায় ৮শত ৩ জন। দুই ডিলার মাধ্যমে খাদ্যবান্ধবের দুই মাসের একসঙ্গে জনপ্রতি ৬০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা, অথচ তারা কম দিয়েছেন। আমি ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

সত্যতা জানতে চাইলে নিযুক্ত ডিলার আব্দুর রহিম বলেন, চাল বিতরণের সময় ৩/৪ জন লোকের কাছে ২/৩ কেজি করে চাল কম গেলে পরবর্তীতে আমরা তা দিয়ে দিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে ওজনে কম দেওয়া হয়নি। প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্র মূলকভাবে এসব করিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি এবং কেউ কম পেয়েছেন কি না এখনও এর কোনও সত্যতা পাইনি। খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার আমরা উপস্থিত থেকে জনপ্রতি ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করবো।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেলিম হায়দার বলেন, ঘটনা শুনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নির্দেশে সত্যতা যাচাইয়ে ঘটনাস্থলে খাদ্য পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।