পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিদর্শন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা সার্বিক পরিস্থিতিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন।
পরিদর্শন শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সালেহ মো. নাসিম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন যাতে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি ও সংগঠনের অবস্থান তুলে ধরেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, দোয়ারাবাজারে কোরআন শরীফকে অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এখানকার তৌহিদী জনতা ও নাগরিকবৃন্দ পবিত্র কোরআন শরীফকে অবমাননার ঘটনাকে মেনে নিতে পারেনি। একে কেন্দ্র করে কিছু পরিস্থিতি ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে যা পেয়েছি এইখানকার দোয়ারাবাজারের মুসলিম এবং হিন্দু নাগরিকবৃন্দ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমরা একটা জিনিস নিশ্চিত হয়েছি যে এই পুরো ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত।’
‘যে পোস্ট করেছে তাকে পরিকল্পিতভাবে পোস্ট করানো হয়েছে, এবং পরবর্তীতে যারা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি এলাকাবাসীর কাছ থেকে, ভিকটিমের কাছ থেকে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী যারা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন, যারা পরবর্তীতে হামলা করেছে তারা একটা বিশেষ গ্রুপের সদস্য, নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য এবং প্রত্যেকটি ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটেছে,’ বলেন এ সমন্বয়ক।
আবু সালেহ আরো বলেন, ‘বর্তমান সময়ে আমাদের দেশ একটি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার এবং পার্শ্ববর্তী দেশের মোড়লগিরি ও আধিপত্যের শিকার, সেই শিকারের একটি বহিপ্রকাশ বা অংশমাত্র আজকের এই ঘটনা।’
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা চাইবো প্রশাসন সঠিক তদন্তের ভিতর দিয়ে যারা পোস্ট করার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ দোয়ারাবাজারবাসীকে এবং এই এলাকাকে উত্তেজিত করেছে, বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেছে, তাদেরকে খুজে বের করবে। উসকানিদাতা কারা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে এবং কাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, হিন্দু ভাইয়েরা মুসলিম ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ সবগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের ভিতর দিয়ে উঠে আসবে এবং আইনী প্রক্রিয়ায় যারা অপরাধী তারা বিচারের মুখোমুখি হবে।’
আরো পড়ুন: দোয়ারাবাজারে কোরআন অবমাননা: অভিযুক্ত যুবক আটক, হিন্দু মন্দির-বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর