মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন

দেশে বেশি ধর্ষণের শিকার কন্যাশিশু ও তরুণীরা

২০২১ সালে নারীদের তুলনায় কন্যাশিশু ও তরুণীরা বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে স্কুলছাত্রীর সংখ্যা বেশি। ধর্ষণের ক্ষেত্রে এ হার ৪৫, দলবদ্ধ ধর্ষণে ৫২ ও উত্ত্যক্তের ক্ষেত্রে ৬৭ শতাংশ।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন চিত্র ২০২১ : ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, যৌন হয়রানি ও যৌতুক’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে ২৬ শতাংশের বয়স ১১-৩০ বছর, দলবদ্ধ ধর্ষণে ২৬ শতাংশের বয়স ১৬-৩০ ও উত্ত্যক্তে ৮৫ শতাংশের বয়স ১৬-৩০ বছর। ৫ শতাংশ কন্যাশিশু ও ৩ শতাংশ নারী ধর্ষণ এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে যানবাহন চালকের মাধ্যমে। অন্যদিকে উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানি এবং ধর্ষণচেষ্টার ক্ষেত্রে নারী ও কন্যারা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকের মাধ্যমে, যা যথাক্রমে ১৭ ও ১৩ শতাংশ।

মহিলা পরিষদ বলছে, গত বছর ধর্ষণে ৮১০, দলবদ্ধ ধর্ষণে ২২৫, ধর্ষণচেষ্টায় ১৯২, উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানিতে ৯৬ এবং ১১৪টি যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে নারীদের তুলনায় কন্যারা বেশি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৪-১৮ বছর বয়সী কন্যাশিশু ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে যথাক্রমে ১৮, ১১ ও ৩১ শতাংশ। উত্ত্যক্তকরণ ও যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে ১০-১৩ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ শতাংশ। যৌতুকের ক্ষেত্রে ১৮-২২ বছর বয়সী নারীরা বেশি নির্যাতনের শিকার হন, যা ২২ শতাংশ।

মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমরা নানা বিষয়ে গবেষণা করলেও এটি ঠিক গবেষণা নয়; সমীক্ষা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরন বা কোন ধরনের অপরাধ বেশি হয়, তা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।