দেশে প্রায় ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশের নাগরিকদের মতো বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দেশেও কিন্তু একটা অ্যাভেইল পিপল উচ্চবিত্ত হয়েছে। যেটা বলা হয়, আমাদের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মানুষের সমান।’
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত ‘১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, দেশেই যেহেতু ‘ইউরোপের মানুষের মতো’ বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, সেহেতু তাদের জন্য ইউরোপীয় মানের আসবাবপত্র বানাতে পারেন ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন, ‘এই ৪ কোটি মানুষ কিন্তু দাম দেবে, ভালো জিনিসপত্র কিনতে পারবে।’
টিপু মুনশি বলেন, দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠিক করেছেন, তা এর আগেই অর্জিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের এই প্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে পাকিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী অনেক দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গেলেই বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শোনা যায়, যা বাঙালি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের।
টিপু মুনশি বলেন, দেশের ফার্নিচার খাত খুব অল্প সময়ে একটি শক্তিশালী খাতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিদেশেও ফার্নিচার রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের ফার্নিচারের যে কোয়ালিটি, ডিজাইন ও আধুনিকতা তা বিশ্বের যেকোনো দেশেরই নজর কাড়বে এবং তারা নিতে আগ্রহী হবে।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পখাত আজ যে অবস্থানে এসেছে এটি একদিনে হয়নি। বর্তমানে ফার্নিচার থেকে ১১০-১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হচ্ছে বলে যে তথ্য দিচ্ছেন তা এ অবস্থায় থাকবে না। এ খাতে বিগত ১০-১২ বছরে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তাতে খুব শিগগির খাতটি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
ফার্নিচার তৈরিতে যেসব মেটারিয়ালস আমদানি করতে হয় সেগুলো দেশেই উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান টিপু মুনশি।