ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের চলমান লড়াইয়ের মাঝে আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি সাধারণ জনগণকে ‘এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় হামাসের মুখপাত্র আবদেল-লতিফ আল-কানোয়া বলেছেন, আমাদের জনগণকে রক্ষার জন্য ইসরায়েলে হামলা চলছে। হামাসের যোদ্ধারা রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার হওয়ার একদিন পর রোববার গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র শাসকগোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা ও অসংখ্য ইসরায়েলিকে অপহরণ করেছে। দুদিনের এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের হুমকি তৈরি করেছে।
সংঘাত গাজার বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন শঙ্কার মাঝেই রোববার ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামাসের সমর্থনে হিজবুল্লাহ এই হামলা চালানোর পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননেও পাল্টা গোলাবর্ষণ করেছে।
৫০ বছর আগে ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় মিসর ও সিরিয়া একযোগে ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা শুরু করেছিল। ওই যুদ্ধের পর এবারে হামাসের হামলা ইসরায়েলে সবচেয়ে বড় এবং ভয়াবহ প্রাণঘাতী হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন : ১২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা দখলের লক্ষ্যমাত্রা ইসরায়েলের
হামাসের সশস্ত্র শাখা বলছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা অপহরণ করা ইসরায়েলি সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা প্রকাশ করবে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে তারা চলমান হামলা অব্যাহত রাখবে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৩১৩ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে অর্ধেকই বেসামরিক নাগিরক। নিহতদের মধ্যে ২০ জনের বেশি শিশু এবং ছয়জন নারীও রয়েছে।
অন্যদিকে, গাজার বর্তমান বাস্তবতা একেবারে বদলে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছে ইসরায়েল। হামাসের কমান্ডার ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে যুদ্ধবিমান থেকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সৈন্যরা। তবে এই হামলায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকরাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা।