দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না : কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সেই ভয়াবহ কালরাতে পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নিরীহ জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছিল। ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তি দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখলে নিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার ঘোষণার পর সামরিক বাহিনীতে কর্মরত মুক্তিকামী বাংলাদেশি অফিসার, সৈনিক, দেশের কৃষক, শ্রমিক, জনতাসহ সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। এক সাগর রক্ত আর বহু ত্যাগের ফলে দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির সূর্যসন্তানরা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে একটি মানচিত্র ও লাল-সবুজের পতাকা এনেছিলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও শহিদদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বরং বর্তমান সরকারের জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানি বর্বরতাকেও হার মানাচ্ছে।

রোববার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সমবেত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার চেতনা জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ একটি সূত্রে গাঁথা। মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়েও মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই, মানবাধিকার নেই। তাই প্রয়োজনে ১৯৭১ সালের মতো আবারও দেশবাসীকে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ইনশাআল্লাহ শিগগির এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), ফখরুল ইসলাম ফারুক, এ কে এম তারেক কালাম, নজমুল হোসেন পুতুল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, মুশিকুর রহমান মুহি, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাকিল মোর্শেদ, রেজাউল করিম নাচন, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, রুহেল আহমদ (চেয়ারম্যান), শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খান, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, আফতাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নুরুল আমিন দুলু, ফরিদ উদ্দিন, ডা. এনামুল হক, আম্বিয়া চৌধুরী, পাখি মেম্বার, যুবদল নেতা আখতার আহমদ, জি এম বাপ্পী, এখলাছুর রহমান মুন্না, আমিনুল ইসলাম, এস এম পলাশ, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন রাজু, রানা আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈয়দ সারোয়ার রেজা, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাসান হাফিজুর টিটু, রায়হানুল হক, ছাত্রদল নেতা মাশরুর রাসেল, আফজাল হোসেন, আব্দুস সালম, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, জুয়েল আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, আজমল হোসেন অপু প্রমুখ।