দেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজনে সিলেটের ‘মৃত্তিকায় মহাকাল’

বাংলাদেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর নবম দিনে মঞ্চ মাতালো সিলেটের নন্দিত আবৃত্তি সংগঠন ‘মৃত্তিকায় মহাকাল’।

গত ২১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের চার হাজারের শিল্পীর অংশগ্রহণে শুরু হওয়া বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ সাংস্কৃতিক উৎসবে মৃত্তিকায় মহাকাল অংশগ্রহণ করে ২৯ অক্টোবর।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তনে সন্ধ্যে ৭টায় বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে মঞ্চস্থ হয় মৃত্তিকায় মহাকাল এর আবৃত্তি প্রযোজনা “ফিরে এসো প্রমিথিউস”।

প্রযোজনা শেষে মৃত্তিকায় মহাকাল এর শিল্পীদের হাতে স্মারক তুলে দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সমন্বয়ক ড. নিমাই মণ্ডল।

প্রযোজনাটি গ্রন্থনা, সংকলন ও নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান। কোরিওগ্রাফী নির্দেশনা দিয়েছেন জ্যোতি সোম নুপুর, সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন বীথি সাইমূম। সার্বিক সমন্বয় করেন রুবেল আহমেদ।

মঞ্চে আবৃত্তি ও কোরিওগ্রাফীতে অংশগ্রহন করেন সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান, গাজী সাইফুল হাসান, রাজকুমার দে জয়রাজ, সামিয়া শিকদার, মন্টি সরকার, জ্যোতি সোম নুপুর, সামিনা আক্তার স্বর্না, অপরাজিতা সেন গুপ্তা ঐশী, দিপংকর চন্দ্র শচীন, পূর্বা বৈদ্য ও অনন্যা বিশ্বাস রিমু।

উল্লেখ্য, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরিক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল ও সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ভারতের চারটি দল, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ৪০টি নাট্যদলসহ মোট ৪৪টি মঞ্চনাটক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১৮টি সঙ্গীত আবৃত্তি ও নৃত্যদলের পরিবেশনা থাকছে উৎসবে।