দেশব্যাপী অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আটক : রিজভী

সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় শতাধিক আহত হওয়ার পাশাপাশি ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে হামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবৈধ সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। আজ দুপুরে উত্তরায় কোন উস্কানি ছাড়াই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ধাক্কা দিয়ে জিপে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।

তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম, ড. মঈন খান পুলিশের উদ্দেশ্যে বারবার বলছিলেন তার অপরাধ কি? কিন্তু পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত না করে মঈন খানের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও কীর্তিমান মানুষকে ধাক্কা দিয়ে জীপে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং নাজেহাল করে। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও তার সঙ্গে আটক হওয়া অন্য নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেয়নি পুলিশ।

রিজভী আরও বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে আজ বিনা কারণে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে এবং মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের ৪ জনকে নেত্রীকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের নেত্রীদেরকে এখনও পর্যন্ত ছেড়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে সুলতানা আহমেদের হার্টে রিং বসানো হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। অথচ তাকে এখনও ছেড়ে না দেয়া চরম অমানবিক। আমি অবিলম্বে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং সুলতানা আহমেদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ সারাদেশে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল করার কথা ছিলো। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে যায় মিছিল।