প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবিরোধী একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ কেউ বিদেশে বসে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এদের অপতৎপরতা আরও বাড়বে। বাড়তে পারে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। এসব অপকর্ম রুখতে আপনাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলেছি। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য। এ জন্য আমাদের ‘স্মার্ট পুলিশ বাহিনী’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনারা জনগণের সমস্যাকে একান্ত আন্তরিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। জনগণের মনে পুলিশ সম্পর্কে যেন অমূলক ভীতি না থাকে, সে জন্য জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবেন।
তিনি বলেন, আপনারা আইনের রক্ষক, শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষক। হুমকি-ভয়ভীতির মুখে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং স্যাংশন যদি না হতো বাংলাদেশ—আমরা এত দিনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। আমরা ইতোমধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলেছি। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং স্যাংশন যদি না হতো বাংলাদেশ—আমরা এত দিনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। তারপরও জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী ২০২০ সালে আমরা উদযাপন করেছি। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছি। এই সময় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা কার্যকর করেই আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ; যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পাওয়া ১১৫ জনকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্রসচিব আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।