বিএনপি মানেই অত্যাচার, নির্যাতন, লুটপাট। এছাড়া, দেশকে তারা কিছুই দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করে। আমরাই জনগণের সেবক। জনগণের সেবা করি। জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। আর বিএনপি মানি লন্ডারিং, লুটপাট ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে এদেশের মানুষের ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছিল, তার সঙ্গে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কোনো পার্থক্য নেই। ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) তো বিএনপির জন্যই এসেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ইমার্জেন্সির সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সবার আগে আমাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরাই গণস্বাক্ষরে এগিয়ে এসেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে বিএনপি কয়টি সিট (আসন) পেয়েছিল? হয়তো তারা নিজেরাই ভুলে গেছেন। মাত্র ৩০টি সিট (আসন) পেয়েছেন তারা। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি সিট (আসন)। ওই তিনটা সিট (আসন) না পেলে খালেদা জিয়া বিরোধী দলের আসনে বসতে পারতেন না। তাহলে কিসের জন্য লাফালাফি করেন।
এসময় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে তিনি বলেন, আমি জানি, ১০ ডিসেম্বর তাদের প্রোগ্রাম ছিল। কিন্তু ভোটচুরি করে জাতির পিতার খুনি বজলুর রশীদকে লিড অব অপজিশন (বিরোধী দলের নেতা) করা হয়েছিল। কিন্তু মানুষ তাদেরকে মেনে নেয়নি। তাই আন্দোলনের মুখে তাদের পদত্যাগ করতে হয়েছিল।
সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। এর আগে যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ। সেই সম্মেলনে সভাপতি পদে নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অপু উকিলকে পুনর্র্নির্বাচিত করা হয়।